অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আবারও মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন।
সর্বশেষ হজ্ববাণীতে তিনি মুসলমানদের মধ্যে ঐক্যকে হজ্বের আহ্বানের একটি মৌলিক ভিত্তি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তার মতে, ইহুদিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদীরা প্রতিনিয়ত মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এ অবস্থায় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্বদের বড় ধরণের দায়িত্ব রয়েছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা চান প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর পশ্চিম এশিয়ায় পাশ্চাত্যের সরকারগুলোর মাধ্যমে রাজনৈতিক ও ভূখণ্ডগত ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে তার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না ঘটে। নতুন যে বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে উঠছে সেখানে মুসলমানেরা যাতে আবারও পিছিয়ে না পড়ে।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেছেন, আমেরিকাসহ সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো মুসলমানদের ঐক্য ও তরুণ প্রজন্মের ধার্মিকতার ঘোর বিরোধী, তারা যেকোনো উপায়ে তা মোকাবেলা করছে। এ অবস্থায় সব মুসলমানের দায়িত্ব হচ্ছে আমেরিকা ও ইহুদিবাদীদের চক্রান্তের মোকাবেলায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা রাজনৈতিক ও ভূখণ্ডগত ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের যে তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন সে প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইব্রাহিম মুত্তাকি বলেছেন, মুসলিম দেশগুলো যে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিকার হয় তাহলো সৌদি আরব, ইরাক, ফিলিস্তিন ও জর্ডানের নিয়ন্ত্রণ নেয় ব্রিটেন। অন্যদিকে, লেবানন ও সিরিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে ফ্রান্স। তারা মুসলিম দেশগুলোর শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে পরিবর্তন করে পশ্চিমা ধারায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। শাসন ব্যবস্থাকে পরিবর্তনের পাশাপাশি গণমানুষের শিক্ষা ও সংস্কৃতিতেও ইঞ্জিনিয়ারিং চালায়। এসব করা হয় যাতে মুসলমানদের মধ্যে সাংগঠনিক ও কাঠামোগত, চিন্তাগত ও কৌশলগত যে ঐক্য ছিল তা যাতে আর না থাকে।
প্রফেসর মুত্তাকির মতে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মুসলমানদেরকে আবারও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এক মুসলমানের মাধ্যমে অন্য কোনো মুসলমান যাতে ক্ষতিগ্রস্ত বা আঘাতপ্রাপ্ত না হয় সেজন্য কাজ করতে হবে। মুসলমানদের সম্মিলিত চেষ্টায় পুনরায় শক্তি অর্জন করতে হবে।
Leave a Reply